
ঢাকা হাইকোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহের সামনে পাওয়া ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় অবশেষে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আশরাফুল হক (৪৩)। তার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকায় এবং তিনি আব্দুর রশিদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ৭টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে।
তবে কারা, কীভাবে আশরাফুলকে হত্যা করে ড্রামে ভরে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ফেলে গেছে, তা এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, “বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে দুজন ব্যক্তি একটি ভ্যানে করে ড্রাম দুটি রাস্তায় নামিয়ে রেখে যায়। স্থানীয়রা শুধু এটুকুই জানাতে পেরেছেন। সন্ধ্যায় দুর্গন্ধ ছড়ালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রাম খুলে ভেতরে চালের নিচে কালো পলিথিনে মোড়ানো মরদেহ উদ্ধার করে।”
তিনি আরও বলেন, “আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ দুটি নীল ড্রাম খুলে একজন অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহাদাত হোসেন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “পুলিশ ড্রাম খুলতে বললে আমি খুলে দেখি, ভেতরে কালো পলিথিনে মোড়ানো লাশের খণ্ডিত অংশ রয়েছে।”
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দু-একদিন আগে হত্যার পর অপরাধীরা মরদেহটি ড্রামে ভরে সেখানে ফেলে যায়।