
মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির পথে এক “অভূতপূর্ব অগ্রগতি” হিসেবে ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মতিকে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প বলেন, “কাতার, তুরস্ক, সৌদি আরব, মিসর, ওমানসহ আরও অনেক দেশ—যারা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তৈরিতে আমাকে সহযোগিতা করেছেন ও সমর্থন দিয়েছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। অনেক পরিশ্রম ও লড়াই করতে হয়েছে তাদের।”
তিনি আরও বলেন, “আজ একটি অসাধারণ দিন। আজ থেকে আমরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হতে দেখব। বিশেষভাবে বলতে গেলে, আমি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। তারা শিগগিরই পরিবারের কাছে ফিরবেন—যে কষ্টের মধ্য দিয়ে তারা গেছেন, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি জানি, তারা ও তাদের পরিবার একে অপরকে আলিঙ্গন করার জন্য উদগ্রীব।”
ট্রাম্প বলেন, “আজ সত্যিই বিশেষ একটি দিন—অনেক কারণে এটি অভূতপূর্ব। যারা সহযোগিতা করেছেন, সেইসব মহান দেশকে ধন্যবাদ। সবার একত্র প্রচেষ্টায় আমরা যুদ্ধের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি। আমরা স্থায়ী শান্তির খুব কাছাকাছি। সবাইকে ধন্যবাদ—সবার প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে।”
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ২০ দফা সম্বলিত একটি নতুন পরিকল্পনা পেশ করেন। পরিকল্পনাটি প্রকাশের পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এতে সম্মতি জানান। তবে তখনও গাজার শাসনকারী সংগঠন হামাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এরপর শুক্রবার ট্রাম্প হামাসকে আল্টিমেটাম দেন—রোববারের মধ্যে সাড়া না দিলে ‘নরক নেমে আসবে’ গোষ্ঠীটির ওপর। এই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাসের হাইকমান্ড জানায়, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ও গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রস্তুত।
হামাসের এই ঘোষণার পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান। তার আহ্বানের কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েল সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
সূত্র: বিবিসি