
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ভাড়া বাসার নিস্তব্ধতা ভেঙে শনিবার ১৫ নভেম্বর সকালে ভয়াবহ এক ঘটনায় স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ এবং একই অবস্থায় আহত স্বামীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা ভিলার পঞ্চম তলায় বাস করতেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের আমতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এমরান হোসেন, বয়স ৪০, এবং তার স্ত্রী রহিমা খাতুন, বয়স ৩৫। সকালে ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করা হলে দেখা যায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন রহিমা খাতুন। এমরান হোসেনের শরীর স্পর্শ করলে পালস পাওয়া যায়, তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে দম্পতির মধ্যে বিরোধ চলছিল। শনিবার ভোরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে এমরান ধারালো দা দিয়ে প্রথমে স্ত্রী রহিমাকে জবাই করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর একই দা দিয়ে তিনি নিজ গলায় আঘাত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে এবং ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, “মরদেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর আমরা তল্লাশি চালালে স্বামী এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, নিহত রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।