
জুলাই ঘোষণাপত্রে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মতামত উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি দাবি করেছেন, প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও জামায়াতের বিভিন্ন পরামর্শ ঘোষণা থেকে বাদ পড়েছে, যা ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন আয়োজিত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, “বিশাল জনগোষ্ঠীর অবদানকে ঘোষণাপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমরা অনেক প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। সেগুলোও ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি। এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে গিয়ে যদি বিশাল জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষাকে স্থান দিতে না পারেন, তাহলে সামনের দিনগুলোতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে কতটা প্রত্যাশা করতে পারি?”
তিনি জানান, জাতি অনেক আগ্রহ নিয়ে জুলাই ঘোষণার প্রতীক্ষায় ছিল। তবে ঘোষণাটি এলেও সেটা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে মত দেন তিনি। এ বিষয়ে বলেন, “গত মঙ্গলবার যে আশা নিয়ে আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, তা পূরণ হয়নি। একটা অসম্পূর্ণ বিবৃতির মতো এটি পাঠ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই ঘোষণাপত্র তৈরিতে কোনো রাজনৈতিক দল প্রভাব বিস্তার করেছে কি না।”
তিনি আরও প্রস্তাব করেন, ঘোষণার পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ “জুলাই সনদ” প্রণয়ন করা হোক, যেখানে জাতীয় ঐকমত্যের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো স্থান পাবে এবং যার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধন করতে হবে। আলেম হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যাসহ অনেক ইতিহাস ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি। ঘোষণায় এমন কিছু আনবেন, যাতে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের কথা স্থান পাবে, অন্যদের কথা স্থান পাবে না—সেটা হতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টা, আপনার উচিত নিজেকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখা। আপনার কোনো দুর্বলতার কারণে যেন রক্ত দিয়ে গড়া জাতির স্বপ্ন নষ্ট না হয়, সেটা বিবেচনায় রাখবেন।”
তবে তিনি নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে কোনো আপত্তি জানাননি। বরং বলেন, “নির্বাচনের যে সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নেই। আমরা একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।”