
চট্টগ্রাম নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন “অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলি করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বন্দর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হওয়ার পর সোমবার দিবাগত রাতে ওয়্যারলেস বার্তায় তিনি এই নির্দেশ দেন। তবে পরে ওই বার্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন সিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, কমিশনারের এ ধরনের গোপন নির্দেশ ফাঁস হওয়ায় সংবেদনশীল বার্তা আদান-প্রদানে কর্মকর্তারা এখন দ্বিধায় রয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, সিএমপির ভেতরের কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ভিডিওটি ফাঁস করেছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের ভেতর থেকে তিন মিনিট নয় সেকেন্ডের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। একজনকে হাতে ওয়াকিটকি ধরে রাখতে দেখা যায়। ভিডিওটির সূত্র শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, ভিডিও ধারণকারীর অবস্থান শনাক্ত করতে টাইলস মোড়ানো মেঝেসহ নানা সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিএমপির একজন উপ-কমিশনার জানান, “কড়া নির্দেশনার পর পুলিশের সদস্যরা উজ্জীবিত হলেও, সংবেদনশীল বার্তা বাইরে যাওয়াটা উদ্বেগের। এতে কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
এর আগে ১১ আগস্ট গভীর রাতে সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের এসআই আবু সাঈদ রানা গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর কমিশনার ওয়্যারলেস বার্তায় নির্দেশ দেন— ৫ আগস্টের আগের প্রাধিকার অনুযায়ী সব মোবাইল টিম, পেট্রোল পার্টি, ডিবি এবং চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারীরা অস্ত্র ও লাইভ এমুনিশন সঙ্গে রাখবে। শুধু রাবার বুলেট নয়, প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “কোনো পুলিশ টহল দলের সামনে অস্ত্র বের করা হলে— তা ধারালো হোক কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র— গুলি চালাতে হবে। আত্মরক্ষার আইন অনুযায়ী এই অধিকার প্রতিটি পুলিশ সদস্যের আছে।”