
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে নতুনভাবে উঠে এসেছে যুদ্ধাপরাধের বিচার সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত তথ্যচিত্র ও বক্তব্য। এবার তাদের প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মন্তব্য, ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’, যুদ্ধাপরাধের মামলার ‘ভুয়া সাক্ষ্য’, এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা বিতর্ক।

গতকাল (৫ আগস্ট) শিবিরের আয়োজনে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতাদের ছবি প্রদর্শন করা হলে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেগুলো অপসারণ করে। এরপর আজ (৬ আগস্ট) প্রদর্শনীর স্থানেই শিবির নতুনভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করে।
শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন খান বলেন, “আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়গুলো, যেমন ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’ বা ভুয়া সাক্ষ্য, জনগণের সামনে তুলে ধরছি। খালেদা জিয়ার এ বিষয়ে বক্তব্য এখনো প্রাসঙ্গিক, কারণ এটি বিচার ব্যবস্থার রাজনৈতিক ব্যবহারের দৃষ্টান্ত।”

তিনি আরও দাবি করেন, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে বিগত ১৫ বছরে সরকার একনায়কতান্ত্রিক ও দমনমূলক চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়েছে। বিচারকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বিচার প্রক্রিয়ার বিকৃতি সেই পথই প্রশস্ত করেছে বলে তার মন্তব্য।
প্রসঙ্গত, গতকালকের আয়োজনে গোলাম আজম, নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, মুজাহিদ, মীর কাশেমসহ জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন দণ্ডপ্রাপ্ত নেতার ছবি প্রদর্শন করেছিল ছাত্রশিবির। তবে বামপন্থী সংগঠনগুলোর তীব্র আপত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা সরিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম এবং প্রক্টরিয়াল টিম।

আজকের প্রদর্শনীতে একই স্থানে আবারো নতুনভাবে ভিন্ন ব্যাখ্যায় পোস্টার টানানো হয়, যেখানে জিওফ্রে রবার্টসন, সুরঞ্জন বালির বক্তব্য, ও কথিত ভুয়া সাক্ষীদের বিবৃতি সংবলিত নানা উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নতুন কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রক্টরিয়াল টিম ছিল তৎপর।