জাবি শিক্ষিকার মৃত্যুতে জামায়াত আমির ও শিবির সভাপতির শোক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনার সময় আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করা চারুকলা বিভাগের লেকচারার জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

গত শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, উভয় নেতা তাদের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে এই শোকবার্তা জানান।

ডা. শফিকুর রহমান তার শোকবার্তায় লেখেন, "আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, "আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। তার পরিবার, সহকর্মী, প্রিয়জন ও আপনজনকে আল্লাহ তা’য়ালা ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করুন।"

অপরদিকে ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামও শিক্ষিকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, "মহান আল্লাহ উনাকে ক্ষমা করুন। জান্নাত নসিব করুন। পরিবর-পরিজন, সহকর্মী, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।"

জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা শুক্রবার সকালে প্রীতিলতা হল কেন্দ্রে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান। ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে নির্ধারিত কক্ষে পৌঁছানোর সময় দরজার সামনে হঠাৎ করেই পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখযোগ্য যে, বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় জাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর পাঁচ ঘণ্টা পর শুরু হয় ব্যালট গণনা। প্রথাগত হাতে গোনা পদ্ধতিতে এই গণনা পরিচালিত হচ্ছে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১,৭৫৯ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদের জন্য ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদের জন্য ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন নারী এবং ১০ জন পুরুষ প্রার্থী।