
আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তাদের এবার নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা অপরাধে জড়িয়ে দেশ ছেড়েছেন, তাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার ভাষায়, “তারা আইনের চোখে অপরাধী। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।”
সাবেক সরকারের সময়ে দায়িত্বে থাকা এবং বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত কর্মকর্তাদের ব্যাপারেও প্রশ্ন করা হলে তিনি পুনরায় বলেন, “যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।”
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকবে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছেন, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।”
সভায় আলোচনার বিষয়ে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আজকে আলোচনার বিষয় ছিল মাদক, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সীমান্ত ইস্যু এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে, সেটিও আলোচনায় এসেছে।”
তিনি আরও জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে বিদ্যমান কিছু ছোটখাটো সমস্যার সমাধান করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়ানো প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ বক্তব্যগুলোর অনেক সময় সত্যতা থাকে না। কিন্তু সাংবাদিকদের বক্তব্য সত্যি থাকে। সেজন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো, উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো সাংবাদিকরা বেশি প্রতিহত করতে পারেন, যদি আপনারা সত্য সংবাদটা দিয়ে দেন। কোনো ধরনের সন্দেহ থাকলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।