
ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়েছে, এতে দেশটির ছয় সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের একটি সামরিক অনুপ্রবেশের অভিযোগ জানানোর একদিন পরই এ হামলা হলো।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের ড্রোন থেকে চালানো হামলায় দামেস্কের দক্ষিণের আল-কিসওয়া শহরের কাছে সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি অবস্থান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবারিয়া জানায়, এতে ছয় সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। খবরটি ভোরে সম্প্রচার করা হয়।
২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল দেশটিতে শতাধিক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল মূলত ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী এবং সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা। এছাড়া ইসরায়েল গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোনের একাংশ দখল করে সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করেছে। এই পদক্ষেপ ১৯৭৪ সালে সিরিয়া-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তির লঙ্ঘন।
সোমবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ইসরায়েল লেবানন সীমান্তবর্তী বেইত জিন শহরের পাশে মাউন্ট হারমোনের কৌশলগত একটি অঞ্চল দখলে নিতে ৬০ জন সৈন্য মোতায়েন করেছে। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি বলেন, “সম্প্রসারণবাদী ও বিভাজন পরিকল্পনা” বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় গোয়েন্দা কেন্দ্র ও সামরিক পোস্ট স্থাপন করছে।
চলতি আগস্টের শুরুতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু “গ্রেটার ইসরায়েল” ধারণার কথা তুলে ধরেন। উগ্র জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলিরা এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছে, যার আওতায় দখলকৃত পশ্চিম তীর, গাজা, লেবানন, সিরিয়া, মিসর ও জর্ডানের অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ৩১টি আরব ও মুসলিম দেশ ও আরব লীগ ইসরায়েলের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক আইন ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার “স্পষ্ট ও বিপজ্জনক লঙ্ঘন” হিসেবে উল্লেখ করেছে।