
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের জন্য আগামী পাঁচ বছর মেয়াদি একটি জাতীয় ঐকমতের সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে বসে ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোন পথে অগ্রসর হবে, তার দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে হবে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের বটতলী মোড়ে উপজেলা শাখা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুর।
তিনি বলেন, “দেশে পরিবর্তনের প্রশ্নে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটেরা ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে আগে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। এরপরই গণঅধিকার পরিষদ বিবেচনা করবে, তারা কোনো জোটে যাবে কি না।”
নুরুল হক নুর আরও বলেন, “পুলিশ, আর্মি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, এমপি ও মন্ত্রী—সবার বেতন হয় জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায়। তাই জনগণের টাকায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা যেন কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য না দেখায়, বরং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করে ইনসাফ প্রদর্শন করে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে।”
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে নুর বলেন, “ফ্যাসিবাদী হাসিনার দমন-পীড়নে যখন দেশে মানুষের মুখ বন্ধ হতে শুরু করেছিল, তখনই আমরা ছাত্র-যুবক-তরুণরা পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছিলাম। আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে গণঅধিকার পরিষদ আজকের অবস্থানে এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আর যেন হাসিনার মতো কোনো ফ্যাসিস্ট ব্যক্তি বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরী, উচ্চতর পরিষদের সদস্য মো. হানিফ খান সজিব, দিনাজপুর জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শোভন, এবং ফুলবাড়ী শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, সহসভাপতি নাদিম এম জিসান ও সাধারণ সম্পাদক রাফসান জানি।