
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই দেশে ফিরতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি এ মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে কমপক্ষে দুয়েকদিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়তো, আশা করছি।"
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় পরিবারসহ দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। জুলাই মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর জটিলতা কেটে গেলেও এখনো দেশে ফেরেননি তিনি।
দলের বিভিন্ন নেতারা সাম্প্রতিক সময়ে ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন, খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। নভেম্বরের শেষের দিকে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনার খবরও শোনা যাচ্ছিল, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে দেশে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেছিলেন, “খুব দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।”
নির্বাচনের আগেই দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই যখন জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে থাকার।”
দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে নেতৃত্ব দিলেও তারেক রহমান কখনো সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ সালের জুন থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন এবং কখনো পরাজিত হননি। এবার মায়ের সেই ঐতিহ্যবাহী আসনেই ধানের শীষের প্রার্থী হবেন তারেক রহমান।