
অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (১৩তম গ্রেড) পদে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় পত্রিকায় এটি ছাপা হবে।
প্রথম ধাপে দেশের ছয়টি বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য থাকা ১০ হাজার ২১৯টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিভাগগুলো হলো- রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, “নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামীকাল পাওয়া যাবে। আজই আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়েছি। আগামীকাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকেও এটি দেখা যাবে।”
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষক সংকটে ভুগছে। প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের পদোন্নতি হলে আরও ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে যাবে।
গত কয়েক বছরে নানা জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। নারী ও মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত ৬০ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়েছে। এরপর ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রকাশিত হয়। এতে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হলেও ধর্মীয় ও সামাজিক বিতর্কের কারণে ২ নভেম্বর সংশোধিত বিধিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা পদ বাতিল করা হয় এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সব বাধা দূর করা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি:
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা চারটি বিষয়ে হবে: বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি)। মোট নম্বর ৯০।
বাংলা ও ইংরেজি ২৫ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বর এবং গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান ২০ নম্বর করে মোট ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর হবে ৪৫ (৯০ নম্বরের ৫০ শতাংশ) এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫ (১০ নম্বরের ৫০ শতাংশ)। লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ৯০ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারিত নয়।