
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর, দুই দেশের সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই টানাপড়েনের মধ্যেই চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুতিন ৫ অথবা ৬ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছাবেন। সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া থেকে ভারত ব্যাপক হারে অপরিশোধিত তেল কেনায় অসন্তোষ থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের পণ্যের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করেছে। নতুন এই করের হার কার্যকর হয়েছে ২৭ আগস্ট থেকে।
পুতিনের এই সফর দুই দেশের বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় সম্মেলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোদি-পুতিন বৈঠকটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে এমন একটি সময় যখন ওয়াশিংটন ও দিল্লির সম্পর্কে চাপ বাড়ছে।
এর আগে আগস্ট মাসে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মস্কো সফর করেছিলেন। সেই সময়েই পুতিনের সম্ভাব্য ভারত সফরের বিষয়ে আলোচনা হয়, যদিও তখন সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। এখন সফর প্রায় নিশ্চিত বলেই জানা গেছে।
এছাড়া সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে অংশ নিতে চীন সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যেখানে পুতিনের সঙ্গেও তার আলাদা বৈঠক হয়। ওই বৈঠক থেকেই মোদি-পুতিন সংলাপের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের এই সফর শুধু রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের দিকেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।