
কুষ্টিয়ায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে জুতাপেটা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সদস্যকে মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে এক পুলিশ সদস্যকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন এক নারী। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে থাকা আরেক নারীও এগিয়ে আসেন এবং পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিতের দৃশ্যটির ভিডিও করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই নারীও পায়ের জুতা খুলে মারতে থাকেন ওই পুলিশকে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হেনস্তার শিকার ওই পুলিশ সদস্যের নাম নাজমুল হোসেন। তিনি কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।
নাজমুল হোসেন বলেন, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রিকশাযোগে ওই নারী তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এমন সময় রেলগেট পড়ে গেলে আমাদের ওপর চড়াও হন ওই নারী। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল থেকে ফিরে আচমকা আমাকে মারধর করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে পুলিশ লাইনে পৌঁছে দেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’
তবে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই দুই নারীর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তারা ঘটনার পর পরই সটকে পড়েন।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ওই দুই নারীকে খুঁজছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ দিকে, ট্রাফিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে দুই নারীর মারধরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।