
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে মহাসড়ক সচল রয়েছে। তবে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে ব্যানার হাতে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়। ফলে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ সব ধরনের যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ভোর ৬টা থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীরা ব্যানার হাতে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিলেও তাদের কারণে যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা তৈরি হয়নি।
ভাঙ্গা উপজেলা সদরের পুখুরিয়া, মাধবপুর, হামিরদী এবং মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে জড়ো হলেও পুলিশের তৎপরতায় তারা মূল সড়ক ছেড়ে পাশেই অবস্থান নেন। এতে সড়ক ও রেলপথ উভয়ই সচল থাকে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি যাতে জনগণের ভোগান্তি না হয়। আন্দোলনকারীরা বর্তমানে রাস্তার পাশে অবস্থান করছেন। মহাসড়ক খালি রাখা হয়েছে। সড়ক সচল রাখতে প্রচুর পুলিশ ও আনসার মোতায়েন রয়েছে।” তিনি জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করা হয়নি।
এদিকে আন্দোলনের অন্যতম নেতা আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিক মিঞাকে রোববার ভোরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মামলায় সড়ক অবরোধকে “অবৈধ দাবি” উল্লেখ করেছে এবং ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ এনেছে।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে স্থানীয়রা রোববার থেকে তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও রেল অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। আজ চলছে কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন।