
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও হামলার প্রতিবাদে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অক্টোবরের দুটি ম্যাচে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নামা ইউরোপীয় দুই দল ইতালি ও নরওয়েকে ফিফা অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হয়েছে।
ফিফার অক্টোবর সূচিতে প্রায় সব দেশ দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। নরওয়ে ও ইতালির বিপক্ষে দুটি ম্যাচই খেলতে হয়েছে ইসরায়েলের মাঠের বাইরে। সেখানে ইসরায়েল বড় ব্যবধানে হারে। ১১ অক্টোবর ওসলোতে নরওয়ের কাছে ৫-০ গোলে এবং ১৫ অক্টোবর উদিনেতে ইতালির কাছে ৩-০ গোলে হারার ঘটনা ঘটেছে। দুই ম্যাচেই দর্শকদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ দেখা গেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল-বিরোধী আন্দোলন ফুটবল মাঠেও পৌঁছেছে।
ফিফা জানিয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় ইতালি ও নরওয়ের দর্শকরা ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন। এ কারণে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে ১২,৫০০ সুইস ফ্রাঙ্ক (১৫,৫০০ ডলার) এবং নরওয়েকে ১০,০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক (১২,৪০০ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন বা স্লোগান দেওয়ার জন্য কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি।
ইতালির বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা তাদের হাতে বহন করছিলেন ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল—‘চলুন প্রতিরোধ গড়ে তুলে জায়োনিজমকে থামাই’। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “তোমরা কীভাবে এখনও ইসরায়েলকে খেলার অনুমতি দিচ্ছ? একটি জায়োনিস্ট ও অপরাধী রাষ্ট্র কেন এখনও ফুটবল খেলছে?”
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভাবছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে নির্ধারিত সূচি মেনে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে।