
আকস্মিক বন্যায় ইন্দোনেশিয়ার দুটি প্রদেশে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজদের খুঁজে পেতে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বালি ও ইস্ট নুসা তেঙ্গারা প্রদেশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আন্তারা বৃহস্পতিবার জানায়, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্টো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে নিখোঁজদের সন্ধান, বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানায়, নিখোঁজদের খোঁজ ও ধ্বংসাবশেষ সরাতে বিভিন্ন সংস্থার ৪০০ থেকে ৬০০ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপিবি মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানান, টানা বৃষ্টির ফলে নদীগুলো উপচে পড়ে এবং বালির নয়টি শহর ও জেলায় প্রবল বন্যা দেখা দেয়। পাহাড়ি এলাকায় কাদা, পাথর ও গাছপালা পড়ে যায় এবং নদীর পানি বাড়ায় অন্তত ১২০টি এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়া, একাধিক স্থানে ভূমিধসও হয়েছে।
তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা নয় থেকে বেড়ে ১৪-তে পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বালিতে। অধিকাংশই নদীর স্রোতে ভেসে গেছেন।” এখনও কমপক্ষে দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আবদুল আরও জানান, ৫০০-র বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বালির রাজধানী দেনপাসারের মেয়র ই গুসতি নগুরা জয়া নগারা দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।