
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় গত ৪ অক্টোবর এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে বাউল শিল্পী আবুল সরকার ইসলাম ও আল্লাহকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করে স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠার পাশাপাশি ধর্মীয় সংগঠন ও মুসল্লিরা তার দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানায়। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নজরে আনার পর ডিবি পুলিশ গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদারীপুরে বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এ ঘটনায় বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিচার দাবিতে দেশজুড়ে যখন প্রতিবাদের ঢেউ, ঠিক এমন সময় আরেক বাউল শিল্পী হাসিনা সরকার পুরুষ বাউলদের আচরণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, নারী বাউল শিল্পীদের প্রোগ্রামে ডাকার শর্ত হিসেবে পুরুষ শিল্পীরা অনৈতিক প্রস্তাব দেন, আর নিজেও এর শিকার হয়েছেন। তবে তিনি কারও নাম প্রকাশ করেননি।
ভিডিওতে হাসিনা সরকার বলেন, “বাউলদেরকে বলতাম, আমার তো প্রোগ্রাম নাই, আমার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন। তখন তারা বলেন, ‘যদি খেয়াল রাখতে হয় তাহলে কথা শুনতে হবে। যখন ডাকি তখন আসতে হবে’। আমি বলি, ‘আসলে কী হবে’? তখন তারা বলেন, ‘এইটা কি ভেঙে (খুলে) বলতে হবে’। আমি তখন বলেছি, ‘মাফও চাই, দোয়াও চাই। ওই ধরনের প্রোগ্রাম আমার দরকার নাই। আমার ইজ্জত বিক্রি করে আমার প্রোগ্রাম নিতে হবে না। এটাকে বাউল গান বলে না।’”
তিনি আরও বলেন, পুরুষ বাউল শিল্পীদের কাছ থেকে তিনি নিজেও কুপ্রস্তাব পেয়েছেন। তার ভাষায়, “তারা বেডে (বিছানা) নেয়, আর গান গাওয়ার সুযোগ দেয়। আমি বাউল শিল্পী হয়ে বলছি- এখন বাউল জগতের এরকম পরিস্থিতি হয়ে গেছে। আমাকে যদি কেউ না ডাকে, বায়না না দেয়, আমার কেউ খোঁজখবর না নেয়, তাও আমার কিছু যায় আসে না। আমাকেও বাউলরা এরকম (কুপ্রস্তাব) প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা বলেছেন, ‘আমাদের কথা শুনবি, তোকে বায়না দেব।’