
মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনী আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান সমূহে অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প এবং বিশেষ এ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। একই সঙ্গে সমন্বিত ব্যান্ড পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আরও শোভাময় করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সশস্ত্র বাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সেনানিবাস ও ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায়ও সীমিত আকারে ব্যান্ড পরিবেশন করা হয়। বিমান বাহিনী খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রাম, ফৌজদারহাট, কক্সবাজার ও মাতারবাড়ী এলাকায় সীমিত আকারে ফ্লাই পাস্ট পরিচালনা করে।
বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুর রহমান ও সশস্ত্র বাহিনীর ৫৩ জনসহ মোট ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে ফ্রি ফল জাম্পের মাধ্যমে আকাশ হতে ভূমিতে অবতরণ করেন। এটি দেশীয় ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফ্রি ফল জাম্প এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ রেকর্ডের মালিক হবে, যা দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে দেশের ভেতরে ও বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশির মধ্যে জাতীয় গৌরব ও পরিচয়ের অনুভূতি জাগাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, দেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া, বিজয় দিবস উদযাপনে চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) এবং বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজগুলো সকাল ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। পাশাপাশি সামরিক জাদুঘরসহ তিন বাহিনীর অন্যান্য জাদুঘরও বিনা টিকিটে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়।