.webp)
রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগ নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। মস্কো ভারতীয়দের তালিকাভুক্তি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে সতর্কতা জারি করে।
গত বছর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষ্যে দেখা যায়, বেশ কিছু ভারতীয়কে 'সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা সহায়ক' পদে নিযুক্ত করে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো হয়েছিল। ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়েও তাদের অংশ নিতে হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মস্কো সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর এক মাস পর রাশিয়ান দূতাবাস আশ্বস্ত করেছিল যে ভারতীয়দের আর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হবে না।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে আবারও বেশ কিছু ভারতীয় আটকা পড়েছেন। দ্য হিন্দু জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এমন দুই ভারতীয় আরও ১৩ জনের সঙ্গে রাশিয়ান বাহিনীর হয়ে কাজ করেছেন। এরা সবাই ছাত্র বা ভিজিট ভিসায় এ বছর মস্কো গিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সম্প্রতি রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগের খবর দেখেছি। আমরা আবারও সকল ভারতীয় নাগরিককে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগদানের যে কোনো প্রস্তাব থেকে দূরে থাকার জন্য জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ এটি একটি বিপদজনক পথ।”
তিনি আরও জানান, ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং দিল্লি ও মস্কো উভয় স্থানেই রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। নাগরিকদের মুক্তি ও এ প্রথা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
দ্য হিন্দু উদ্ধৃত সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে এক এজেন্ট নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, পাঞ্জাব প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। এতে তিনজন ভারতীয় যুবককে ক্লান্ত অবস্থায় পাঞ্জাবি ভাষায় বলতে শোনা যায় যে, তাদের প্রতারণার মাধ্যমে রুশ ফ্রন্টলাইনে পাঠানো হয়েছে।