
ক্যারিবীয় সাগরের উত্তাল জলরাশিতে হঠাৎ করেই তীব্র কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ভেনেজুয়েলার উপকূলের আশেপাশে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান ঘোরাফেরা করায় দেশটির সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এই ঘটনাকে সরাসরি সামরিক উসকানি এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ভ্লাদিমির পাদ্রিনো দাবি করেন, অন্তত পাঁচটি মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেশটির সীমানার কাছাকাছি ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থান করছিল। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের নজরে রেখেছি। ভেনেজুয়েলার মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না।' একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে চাওয়া ভেনেজুয়েলাবাসীকে ভয় দেখিয়ে অস্থির করার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভেনেজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট, রাজধানী কারাকাসের মাইকেতিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা এবং একটি বেসরকারি এয়ারলাইনের নজরে আসে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধবিমানগুলো।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, এফ-৩৫ বিমানগুলো উপকূল থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরত্বে শনাক্ত হয়েছে। যদিও তা সরাসরি দেশটির আকাশসীমা, যা ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত; লঙ্ঘন করেনি, তবুও সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিপন্ন করেছে।
সরকারি বিবৃতিতে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়, 'ক্যারিবীয় অঞ্চলের শান্তি নষ্ট করে এমন দুঃসাহসী ও যুদ্ধবাজ আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করুন।' এই বক্তব্যটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে দেয়া হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা