
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও শুল্ক ইস্যুতে মুখ খুলে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, শুল্ক বিষয়ে তার দক্ষতা আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দ্য স্কট জেনিংস রেডিও শোতে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ভারতকে “বিশ্বের সবচেয়ে শুল্কযুক্ত দেশ” আখ্যা দেন। তিনি বলেন, তার শুল্ক নীতিই নয়াদিল্লিকে ছাড় দিতে বাধ্য করেছে।
ট্রাম্প বলেন, “চীন আমাদের শুল্ক দিয়ে মারছে, ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে মারছে এবং ব্রাজিলও আমাদের শুল্ক দিয়ে মারে। আমি তাদের চেয়ে শুল্ক ভালভাবে বুঝতে পেরেছি, আমি বিশ্বের যেকোনো মানুষের চেয়ে শুল্ক ভালভাবে বেশি বুঝতে পেরেছি।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শূন্য শুল্ক আরোপের প্রস্তাব এসেছে কেবল তার কঠোর পদক্ষেপের ফলেই। ট্রাম্পের ভাষায়, “ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শুল্কযুক্ত দেশ ছিল, এবং আপনি জানেন, তারা আমাকে মার্কিন পণ্যে ধার্যকৃত শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। যদি তাদের ওপর উচ্চ শুল্ক না চাপাতাম, তাহলে তারা কখনই সেই প্রস্তাব দিত না। ফলে আপনার শুল্ক বহাল থাকাই উচিত।”
এর আগে সোমবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টেও ট্রাম্প ভারতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে লিখেছিলেন, “তারা (ভারত) সম্প্রতি মার্কিন পণ্যে ধার্যকৃত শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই প্রস্তাব আরও অনেক বছর আগে দেওয়া উচিত ছিল।”
ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্ককে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, “খুব কম লোকই বোঝে, তারা আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে, আমরা তাদের সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্ট। কিন্তু তারা আমাদের পণ্য কিনে না, যা এটি সম্পূর্ণ একতরফা সম্পর্ক, এবং এটি বহু দশক ধরে চলে আসছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারত আমেরিকান পণ্যের বদলে রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এর মধ্যেই চীন সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই ফের নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সরব হন ট্রাম্প।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস