
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবাই দেশপ্রেমিক দলকেই সমর্থন দেবে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, “যারা বাংলাদেশকে চায়নি, তারা আবার দেশের শাসনভার চায় কীভাবে? ধর্মের দোহাই দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করছে তারা। স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে চাইছে। তারা ভাবছে, আওয়ামী লীগের ভোট তারা পাবেন, কিন্তু সব আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক দলকে ভোট দেবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে এখন এক অদ্ভুত পরিস্থিতি চলছে। “কারা দেশ চালায় তা বোঝা কঠিন। সবাই সংস্কারের কথা বলে, কিন্তু কী সংস্কার হচ্ছে কেউ জানে না। বেকারত্ব বাড়ছে, ঢাকায় মানুষের চাপ বেড়েছে, ফুটপাতজুড়ে দোকান গজাচ্ছে, অথচ এসব দিকে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই।”
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, “ওলটপালট করে দে মা লুটেপুটে খাই, দেশকে ওলটপালট করে দিয়ে একটা শ্রেণি লুটপাটে মেতে উঠেছে।”
মির্জা আব্বাসের দাবি, বর্তমান সরকার দুটি রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে; একটি তাদের নিজের সৃষ্টি, অন্যটি পুরোনো দল। “ওরা যা বলে তাই করা হয়, অথচ তাদের জনভিত্তি নেই। প্রতীক নিয়ে শেষ মুহূর্তে যা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাও তাদের কথামতোই করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
এই দলগুলোকে জেতাতে সরকার যেকোনো অনৈতিক উপায় অবলম্বন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস। তার ভাষায়, “আওয়ামী লীগ সরকারের রাতের ভোটের মতো কিছু একটা করে ফেলতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
মনোনয়ন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, দলটি ভালোভাবে মনোনয়ন দিয়েছে। “অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, কেউ কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, কিন্তু তারেক রহমান ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে বিজয়ের পথে নিতে হবে।”