
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সততার ওপর বিএনপির দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। এই মন্তব্য তিনি করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার সরকারের আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ অভিযোগ করার পর রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হওয়া আলোচনার প্রেক্ষিতে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাতে বাসসকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি বলতে চাই, হুইচ ইজ নট আওয়ার্স। এটার সঙ্গে আমাদের (বিএনপি) কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ এই অন্তর্বর্তী সরকারের সব উপদেষ্টাকে অত্যন্ত সম্মান করি এবং তাদের ওপর আস্থা, তাদের ইনটিগ্রিটির (সততা) ওপর আমরা আস্থা রাখি।”
তিনি আরও বলেন, “ওই বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণভাবে ওনার (আবদুস সাত্তার) নিজের। দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।”
আবদুস সাত্তার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আগে আওয়ামী লীগের আমলে যুগ্ম সচিব পদ থেকে অবসর নেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, “সাবেক কর্মকর্তা এ বি এম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, যা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জন আস্থার জন্য ক্ষতিকর।”
বিবৃতিতে আবদুস সাত্তারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যদি তার কাছে কোনো প্রমাণ থাকে তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, “আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকলে দ্রুত আইনগত ও তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই।”