
সাংবাদিক হিমেল চাকমার লেখার প্রথম গ্রন্থ রাঙামাটি রাজবন বিহার সীমাঘর বিতর্ক ও অনুসন্ধান এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রবিবার(১১ মে) বিকেলে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা।
রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমার সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাজীব চাকমা, এডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, নানিয়ারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের প্রভাষক মুকুল কান্তি ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির লেখক হিমেল চাকমা। স্বাগত বক্তব্য তিনি গ্রন্থটির অনুসন্ধান এবং গ্রন্থ প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন এ বইটির মাধ্যমে রাজবন বিহারের সীমাঘর বিতর্ক সম্পর্কে জানতে পারবে এবং পাঠকরা সমাধান খুঁজে পাবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন, রাজবন বিহারের সীমাঘর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়ে আসছি। এতে করে নানা তর্ক বিতর্ক দেখা যাচ্ছিল। এ বিতর্কের মাঝে ভিক্ষু সংঘের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এ গ্রন্থের মাধ্যমে সৃষ্ট বিভাজনের একটা সমাধান আসবে মন্তব্য করে পবন কুমার চাকমা বলেন, বিতর্ক অবসানের জন্য বড় একটি অনুসন্ধানের কাজ করেছেন হিমেল চাকমা। এই বইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ সমাজ উপকৃত হবে।
রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাজীব চাকমা বলেন, এ বইটি সীমাঘর বিতর্কের অবসান ঘটাবে বলে আমি মনে করি। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যাঁরা চিন্তাভাবনা করেন এ চিন্তাশীল ব্যাক্তিদের জন্য বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এডভোকেট সুস্মিতা চাকমা বলেন, গভীর এই অনুসন্ধান রাজবন বিহারের সীমাঘর বিতর্কের অবসান ঘটাবে বলে আমি মনে করি। আমি লেখককে সাধুবাদ জানাই। যখন কোন বিতর্ক সৃষ্টি হয় তখন সঠিক তথ্য উপাত্ত জানা থাকলে বিষয়টি মানুষদের সঠিকভাবে জানানো সম্ভব হয়। গ্রন্থটি পাঠকদের সম্মৃদ্ধ করবে। গ্রন্থটি পড়ে পাঠক প্রকৃত সত্যিটা কি জানতে পারবে। এ বইটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, লেখক রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির একজন সন্মানিত সদস্য আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি তিনি এই অনুসন্ধানে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। ডোর টু ডোর গিয়ে স্বাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এই অনুসন্ধান একদিনের অনুসন্ধান ছিল না। মাসের পর মাস তিনি কাজ করেছেন। অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন কৌতূহলী বিষয় আমার সাথে নিয়মিত শেয়ার করেছেন। আমি ব্যাক্তিগতভাবে তাকে উৎসাহ যুগিয়েছি যেন তিনি এই অনুসন্ধান গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করেন। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করবে।