
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ভাষা ও শব্দচয়ন নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীর সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) তিনি এই পরামর্শটি দেন এ কথা ফার্স্টপোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রাজনাথ সিং বলেন, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সঙ্গে ‘উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক’ চাই না। তিনি আরও বলেন, “অধ্যাপক ইউনূসের উচিত, তিনি কী বলছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।”
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বক্তব্যেও জোর দেন, “ভারত যেকোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। যদিও আমাদের লক্ষ্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের সরকারের বদলের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা কড়াচাড়া পরেছে। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বিনোদন ও অর্থনীতিতে দীর্ঘ সুপজানো অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন; সেই সময় থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মুখে পড়েছে।
সম্প্রতি ঢাকায় সফররত তুর্কি পার্লামেন্টের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতে ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ড‑উপহারের কারণে উত্তেজনা বাড়েছে—বিশেষ করে তিনি যে সংকলনগ্রন্থ ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ উপহার দিয়েছেন, তাতে অনেকে সন্দেহ দেখাচ্ছেন। ওই বইটিকে কেন্দ্র করে ভারতের একাংশ সংবাদমাধ্যমে দাবি উঠেছে যে এতে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ সংশ্লিষ্ট মতামতের ইঙ্গিত আছে—তাদের কথায়, বইয়ে ভারতের উত্তর‑পূর্ব অংশ, বিশেষত আসামকে ভবিষ্যৎ কৌশলগত পরিকল্পনায় দেখানোর সঙ্কেত রয়েছে।
নিউজ১৮‑এর উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, অনামধেয় সূত্র বলছে ড. ইউনূসের উপহারকৃত বইতে—তথাকথিত—‘যুদ্ধ পরিকল্পনা’ ও ‘বিজয়ের পর প্রশাসনিক কাঠামো’ সংক্রান্ত বিবরণও আছে, যা আশঙ্কা জাগিয়েছে। তবে এসব দাবি ও উত্থাপিত তথ্য সম্পর্কে ড. ইউনূস বা তার পক্ষে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া প্রতিবেদনে দেখানো হয়নি।
রাজনাথ সিংয়ের সতর্কতা ও বই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের তীব্র বিশ্লেষণ—এই যুগপৎ প্রেক্ষাপটে এখন কড়া নজর ভারতের প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে অগ্রসর নীতিনির্ধারণ ও ড. ইউনূসের আগামী বক্তব্যের দিকে।