
অবরুদ্ধ গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌযান আটকে দেওয়ার ঘটনাকে ইসরায়েলের জলদস্যুতা বলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বুধবার নিজের দল একে পার্টির সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এরদোয়ান বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলের এ ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, গণহত্যাকারীরা গাজায় নিজেদের অপরাধ ঢাকতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার সামান্যতম সম্ভাবনাও সহ্য করতে পারছে না।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আবারও বিশ্বের সামনে গাজার ভয়াবহ বাস্তবতা ও ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের চিত্র স্পষ্ট করেছে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ছেড়ে যাব না। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাব।”
প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত এই ফ্লোটিলা গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদরা অংশ নেন। সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন এই বহরে। তাদের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের অবরোধ ও চলমান যুদ্ধের কারণে গাজায় ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতেই বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বহরে থাকা জাহাজগুলো আটক করতে শুরু করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ বহনকারী ৪৫টি জাহাজের প্রায় সবকটিই ইসরায়েল আটক করেছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আটক যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাদের ইউরোপে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যাত্রীরা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। একই সঙ্গে গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য কর্মীদের ছবি এক্সে প্রকাশ করেছে তারা।
সূত্র: আল জাজিরা