বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপের ঘোষণায়। জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য ভারসাম্যহীন, তাদের পণ্যের ওপর নতুন করে মূল্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই বাণিজ্য ঘাটতির শিকার, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
নতুন নির্বাহী আদেশ অনুসারে, কিছু দেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, তা নির্ভর করবে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির অগ্রগতির ওপর। চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান শুল্কহারই বহাল থাকবে।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, কোন দেশের ওপর কত শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা নিচে দেওয়া হলো:
- বাংলাদেশ: ২০%
- আফগানিস্তান: ১৫%
- আলজেরিয়া: ৩০%
- অ্যাঙ্গোলা: ১৫%
- বলিভিয়া: ১৫%
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা: ৩০%
- বতসোয়ানা: ১৫%
- ব্রাজিল: ১০%
- ব্রুনেই: ২০%
- কম্বোডিয়া: ১৯%
- ক্যামেরুন: ১৫%
- চাদ: ১৫%
- কোস্টারিকা: ১৫%
- কোট দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট): ১৫%
- কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী: ১৫%
- ইকুয়েডর: ১৫%
- ইকুয়েটোরিয়াল গিনি: ১৫%
- ভারত: ২৫%
- ইন্দোনেশিয়া: ১৯%
- ইরাক: ৩৫%
- ইসরায়েল: ১৫%
- জাপান: ১৫%
- জর্ডান: ১৫%
- কাজাখস্তান: ২৫%
- লাওস: ৪০%
- ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ: ১০%
- ফিজি: ১৫%
- ঘানা: ১৫%
- গায়ানা: ১৫%
- আইসল্যান্ড: ১৫%
- লেসোথো: ১৫%
- লিবিয়া: ৩০%
- লিচটেনস্টেইন: ১৫%
- মাদাগাস্কার: ১৫%
- মালাউই: ১৫%
- মালয়েশিয়া: ১৯%
- মরিশাস: ১৫%
- মলদোভা: ২৫%
- মোজাম্বিক: ১৫%
- মিয়ানমার (বার্মা): ৪০%
- নামিবিয়া: ১৫%
- নাউরু: ১৫%
- নিউজিল্যান্ড: ১৫%
- নিকারাগুয়া: ১৮%
- নাইজেরিয়া: ১৫%
- নর্থ মেসেডোনিয়া: ১৫%
- নরওয়ে: ১৫%
- পাকিস্তান: ১৯%
- পাপুয়া নিউগিনি: ১৫%
- ফিলিপাইন: ১৯%
- সার্বিয়া: ৩৫%
- দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০%
- দক্ষিণ কোরিয়া: ১৫%
- শ্রীলঙ্কা: ২০%
- সুইজারল্যান্ড: ৩৯%
- সিরিয়া: ৪১%
- তাইওয়ান: ২০%
- থাইল্যান্ড: ১৯%
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগো: ১৫%
- তিউনিসিয়া: ২৫%
- তুরস্ক: ১৫%
- উগান্ডা: ১৫%
- যুক্তরাজ্য: ১০%
- ভানুয়াতু: ১৫%
- ভেনেজুয়েলা: ১৫%
- ভিয়েতনাম: ২০%
- জাম্বিয়া: ১৫%
- জিম্বাবুয়ে: ১৫%
এই পদক্ষেপে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করতেই এই শুল্কনীতি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।