
চীনের বিরুদ্ধে আবারও কড়া অবস্থান নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি ম্যাগনেট সরবরাহ না করলে চীনা পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, চীনকে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি ম্যাগনেট দিতে হবে, নইলে তাদের পণ্যে ২০০ শতাংশ বা তারও বেশি শুল্ক বসানো হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুর্লভ খনিজ উপাদান ও ম্যাগনেট রপ্তানি নিয়ে বেইজিং বিশেষভাবে সতর্ক। গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল। বর্তমানে বৈশ্বিক ম্যাগনেট বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে চীন। এসব উপাদান সেমিকন্ডাক্টর চিপসহ নানা প্রযুক্তিপণ্যের জন্য অপরিহার্য, যেমন স্মার্টফোন।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি এসেছে এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল করপোরেশনে ১০ শতাংশ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানও বিরল খনিজের ওপর নির্ভরশীল।
তবে চীনের রপ্তানি তথ্য ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে। চীনা কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে দেশটির বিরল খনিজ রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে এ ধরনের খনিজ আকরিক আমদানি ৪ হাজার ৭০০ টনের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা শুল্ক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই নতুন মন্তব্য পরিস্থিতিকে আবারও জটিল করে তুলেছে। চলতি মাসের শুরুতে কিছুটা সমঝোতার ইঙ্গিত মিললেও নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি সম্পর্ককে টানটান করছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ান, যাতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। আদেশটি না হলে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছে যেত।
এর আগে, গত মে মাসে দুই দেশ সমঝোতায় পৌঁছেছিল যে শুল্কের হার ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামানো হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।