
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রশাসনের আরোপ করা শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করে ফেডারেল আপিল আদালতের রায়কে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এসব শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র “পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত” এবং সামরিক শক্তি “তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।”
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সময় রোববার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে লিখেন, “শুল্ক ছাড়া এবং ইতোমধ্যে আমরা যে ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করেছি তা ছাড়া, আমাদের দেশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত, আর সামরিক শক্তি মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।”
তিনি আরও বলেন, “৭-৪ ভোটে ‘চরম বামপন্থি বিচারপতিরা’ এসব শুল্ক বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে একজন ডেমোক্র্যাট বিচারপতি, যাকে ওবামা নিয়োগ দিয়েছিলেন, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা একাধিক শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করে জানায়, প্রেসিডেন্ট জরুরি ক্ষমতা আইনের অপব্যবহার করে এসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা নির্বাহী ক্ষমতার সীমালঙ্ঘন। আদালত বলে, সংবিধান অনুযায়ী কর ও শুল্ক আরোপের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে রয়েছে।
তবে আদালতের রায়ে শুল্কগুলো এখনই বাতিল হচ্ছে না। রায়ের কার্যকারিতা অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে যাতে ট্রাম্প প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে।
গত শুক্রবার ট্রাম্প প্রথমবার এই রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রুথ সোশালে লেখেন, “সব শুল্ক এখনো বহাল আছে! একটি অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট আপিল আদালত ভুলভাবে বলেছে এগুলো বাতিল হওয়া উচিত। কিন্তু তারা জানে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই জিতবে। এই শুল্ক তুলে দেওয়া হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু আমাদের শক্ত থাকতে হবে।”