
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে দুই-একজনকে মারধর ও চড়-থাপ্পরও দেওয়া হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করেনি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের দুই পাশেই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। সেখানে শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। উভয় পাশে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পাহারায় নিয়োজিত দেখা গেছে।
সকাল থেকে একজন দম্পতিসহ অন্তত চারজন শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে এক দম্পতি তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পশ্চিম পাশে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। তখন তারা স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের রোষানলে পড়েন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়।
একই সময়ে পূর্ব পাশে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আরও দুই ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হন। তাদের একজনের কলার চেপে ধরা হয় এবং অন্যজনকে চড়-থাপ্পর মারা হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে রিকশায় করে সরিয়ে দেয়।
সকাল ১০টার দিকে এক নারী শেরেবাংলা নগর থেকে ফুল দিতে এসে হেনস্তার শিকার হন।
গুলশান ছাত্রদলের কর্মী তানজীব বলেন, “ধানমন্ডিতে মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে এবং আওয়ামী লীগের লোকজন যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি আমরা এখানে আছি। দুই একজন আওয়ামী লীগের লোক এসেছিল, আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।”
পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।