
বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনঃব্যবহারযোগ্য জ্বালানি খাতে সম্ভাবনা দেখছে সিঙ্গাপুর। এই খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহ ইউ-সে। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে বর্জ্য-ভিত্তিক জ্বালানি উৎপাদনে সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তিগত ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কামনা করেন। হাইকমিশনার ডেরেক লোহ জানান, "বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং অপারেশনাল পার্টনারশিপ নিয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে।"
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জাহাজ নির্মাণ, টেকসই জ্বালানি, শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা পর্যটন ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, "বাংলাদেশ রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি) যোগদানে আগ্রহী," এবং একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের সক্রিয় সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
বাংলাদেশি নাবিকদের ভিসা প্রাপ্তি নিয়ে চলমান জটিলতাও আলোচনায় উঠে আসে। পররাষ্ট্র সচিব এ সমস্যা তুলে ধরলে, হাইকমিশনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎ শেষে উভয় পক্ষই পারস্পরিক কল্যাণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে বহুমুখী অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।