
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ঢাকার পর ভোলায় জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন। তাই চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নেওয়া হলে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের পরিবারের প্রতি এটি হবে চরম অপমান। তিনি মন্তব্য করেন, “এরচেয়ে পানিতে ডুবে মারা ভালো।”
রোববার (২ নভেম্বর) ভোলা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, “ইতিহাসের নির্মম সত্য হলো—যারা জুলাই আন্দোলনের চেতনা বজায় রাখার কথা বলে, তারাই এখন চুপ্পুর কাছে বায়াত নিয়ে সনদ নিতে চাইছে। চুপ্পু ফ্যাসিবাদের সুপ্রিম লিডার। তার কাছে বায়াত নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা এক ধরনের প্রতারণা।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদের বৈধতা একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনুসের। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়ার কারণে তার নির্দেশেই সনদ প্রদান হওয়া উচিত। কোনো প্রজ্ঞাপন বা অস্থায়ী নির্দেশ নয়। নির্বাচনের মতো জুলাই সনদের ক্ষেত্রেও সরকারের স্পষ্ট এবং বৈধ সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়োজন।”
এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা বলে জুলাই সনদের প্রয়োজন নেই, তারা ভবিষ্যতে হয়তো বলবে ২৪ আন্দোলনেরও প্রয়োজন নেই। ভোলায় তার বাস্তব নমুনা ইতিমধ্যেই দেখা গেছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত।
সভায় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে পেশীশক্তি ব্যবহার মারাত্মক সংকেত। আশা করি পার্থ ফিরে এসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আগের অবস্থানে দাঁড়াবেন।”
সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সভার সভাপতিত্ব করেন ভোলা জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী মাকসুদুর রহমান।