
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প — এমন দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প মাত্র সাত মাসে বিশ্বজুড়ে সাতটি সংঘাত থামিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারত।
বুধবার (২০ আগস্ট) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি তিনি (ট্রাম্প) তার করা সব শান্তিচুক্তি নিয়ে গর্বিত... ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তিনি বাণিজ্যকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সেই সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন... তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মানিত বোধ করছেন।”
লেভিট আরও দাবি করেন, “আমরা দেখেছি, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের অবসান ঘটেছে, যদি আমাদের প্রেসিডেন্ট না থাকতেন তাহলে এই যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারত। তিনি (ট্রাম্প) মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদটির শক্তি ও প্রভাবকে কাজে লাগাতে জানেন।”
সংঘাতটি শুরু হয় কাশ্মিরের ভারত-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে এক হামলার পর, যাতে ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের অধিকাংশই হিন্দু তীর্থযাত্রী ছিলেন। হামলার দায়ভার ভারত পাকিস্তানের ওপর চাপায়, যদিও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই সংঘাতে দুই পক্ষ চার দিন ধরে পরস্পরের ওপর ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি এবং বিমান হামলা চালায়। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন।
সংঘাতের অবসানে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এর কিছুদিন পর, চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। ইসলামাবাদ বলেছে, কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ও ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকার জন্য এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে সাম্প্রতিক এক বিতর্কে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তার ভাষায়, “কোনও বিশ্বনেতা আমাদের অপারেশন থামাতে বলেননি।”