
দেশের ক্ষতি সাধিত হবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে; আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আমরাও এগিয়ে যেতে চাই। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।’
উপদেষ্টা আরও জানান, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে। ১৯৮৪ সালে ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছিল; এখন সময় এসেছে তা হালনাগাদ করার। ব্যবসায়ীরা আয় করছেন ১ হাজার টাকা, বন্দর পাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমরা জনবল দিয়ে বন্দর চালাচ্ছি, তাই ট্যারিফ সংস্কার প্রয়োজন।’
তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার ক্ষমতা ৫৬ হাজার টিইইউ থেকে বাড়িয়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত করা হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন টার্মিনালের মাধ্যমে ১০ হাজার কনটেইনার রাখার সুবিধা বাড়ানো যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, লালদিয়ার চর টার্মিনাল ১৪ একর জমিতে নির্মিত এবং এতে ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া এখানে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। হেভি লিফট কার্গো জেটির ব্যাকআপ জন্য ৮ একর জায়গা এবং এপিএম টার্মিনাল এলাকা তৈরির জন্য ১০ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন সেই দিন বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনি সংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।