
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। অনুষ্ঠানে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ১৮৪ জন এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেটকে কমিশন প্রদান করা হয়।
কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মনোজ্ঞ প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং নবীন ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি প্রশিক্ষণ সমাপ্ত ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, "শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সামরিক চেতনা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিনিয়ত নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে সচেষ্ট থাকতে হবে।"
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, তিনি বাহিনীকে প্রশিক্ষিত ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, কর্মকর্তা, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ১৮৪ জন এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন, যার মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা রয়েছেন। কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম কোর্সের সেরা চৌকশ ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
কমিশনপ্রাপ্ত নবীন অফিসাররা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ গ্রহণের পর অতিথি ও পিতা-মাতার উপস্থিতিতে তাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা, নবীন অফিসারদের পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।