
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় এক ইসরায়েলি সেনার বাবা সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নেতানিয়াহুর বক্তব্য বয়কট করে তার প্রতি গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওয়াকআউট করা ওই ব্যক্তির নাম রুবি চেন। তার ছেলে ইটাই চেন, যিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন। আইডিএফের তথ্য অনুযায়ী, ইটাইয়ের মরদেহ হামাস গাজার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রুবি চেন বিশেষভাবে নিউইয়র্ক এসেছিলেন নেতানিয়াহুর ভাষণ শোনার জন্য, আশায় যে গাজার মধ্যে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের ভবিষ্যত সম্পর্কে কোনো ঘোষণা আসবে। কিন্তু নেতানিয়াহু যখন গাজায় আটক বন্দিদের তালিকা উপস্থাপন করছিলেন, তখন তার ছেলের নাম উল্লেখ করা হয়নি, কারণ তালিকায় কেবল জীবিত বন্দিদের নাম ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে রুবি চেন গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু যখন ২০ জন জীবিত বন্দির নাম বলতে শুরু করলেন, তখন আমার ছেলের নাম উল্লেখই করলেন না। এতে তিনি আমাকে কোনো সম্মান দেখাননি।’
রুবি চেন এই অবহেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে সভাকক্ষ ছেড়ে যান এবং বাইরে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে এই অন্তহীন যুদ্ধের দুই বছর নিয়ে ভাবার। এই যুদ্ধে অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে, অনেক বেশি রক্ত ঝরেছে। উভয় পক্ষের জন্যই দুঃখ-কষ্ট সীমাহীন।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা গাজার সংঘাত কেবল আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়, ইসরায়েলি সমাজের মধ্যেও গভীর বিভাজন, হতাশা ও ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।