ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতি বা কারচুপির চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট চুরি, ডাকাতি, জালিয়াতি ও সহিংসতা হয়েছে। এর ফলে জনগণের মতামত রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত হয়নি এবং দেশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে গেছে। গত ১৫ বছরে এর চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি।”
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের আশাবাদ তৈরি হয়েছিল। তবে কিছু রাজনৈতিক দলের অনমনীয়তা, পিআর পদ্ধতি না মানা এবং সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতি আশাভঙ্গ করেছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা যা প্রয়োজন তাই করবো, কিন্তু কাউকে ভোট চুরি বা ডাকাতি করতে দেবো না। কেউ অবৈধ ভোট দিলে বা মাস্তানি করলে তা প্রতিহত করা হবে। যেকোনো মূল্যে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
এজন্য সংগঠনের সব শাখার সাংগঠনিক ও প্রশিক্ষণ বিভাগকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এই কর্মশালায় দেশের সব জেলা ও মহানগরের সাংগঠনিক ও প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করে সম্ভাবনা, সমস্যা ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা দেশের একটি শাখাতেও নিয়মতান্ত্রিক কমিটি দিতে পারেনি। কমিটি দিতে গেলেই সহিংসতা শুরু হয়, যা তাদের নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “এই অনিয়ন্ত্রিত ও সহিংস দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। এজন্য সাংগঠনিক শক্তি, দাওয়াতি কার্যক্রম ও কৌশলে আরও মনোযোগ দিতে হবে।”
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাউয়ুম, ফরিদপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, খুলনার মুফতি মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহের জিএম রুহুল আমীন, রংপুরের অ্যাডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা কে এম শরীয়াতুল্লাহ এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ।