.jpg)
যশোরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন হারুন অর রশিদ খান নামে বিএনপির এক স্থানীয় নেতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরদিন শুক্রবার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটক হারুন খান শাখারীগাতি গ্রামের মৃত ইসহাক খানের ছেলে। তিনি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক এবং শাখারীগাতি এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ওই রাতে হারুন খান একই গ্রামের উত্তরপাড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা নজরদারি শুরু করেন এবং কিছু সময় পর হারুনকে ওই নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে মারধর করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্প থেকে একটি টিম এসে হারুনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নেয়। পরে তাকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় রাজনীতিতেও এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
তবে আটক হারুন খান দাবি করেছেন, “পাওনা টাকা আনতে গেলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”
নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কবির হোসেন বলেন, “হারুন অর রশিদকে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসীর পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাই শুক্রবার তাকে সন্দেহমূলক ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”