
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত মো. মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাকসু নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এজিএস (ছাত্র) পদে ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (ছাত্রী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন। দুজনই ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় সংসদের শীর্ষ চারটি পদের মধ্যে ৩টি এবং মোট ২৫টি পদে ২০টি পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
অন্য নির্বাচিত পদধারীরা হলেন:
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক: আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল)
পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক: মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল)
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র)
সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মো. রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল)
নাট্য সম্পাদক: মো. রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
ক্রীড়া সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র)
সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী): ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল)
সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ): মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল)
তথ্য-প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক: মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল)
সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক: আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-বাগছাস)
সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন (নারী): নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল)
সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন (পুরুষ): মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল)
স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পাদক: হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল)
পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক: মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)
কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন:
নারী: নাবিলা বিনতে হারুন, ফাবলিহা জাহান, নুসরাত জাহান ইমা
পুরুষ: মো. তরিকুল ইসলাম, আবু তালহা, মো. আলী চিশতী (মো. আলী চিশতী বাগছাস সমর্থিত, বাকি ৫ জন শিবির সমর্থিত)
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ হয়ে ৪২ ঘণ্টা পর গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১,৭৫৯ জন, এর মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭৭ জন প্রার্থী। সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী ছিলেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে ছিল প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একটি বিভাজিত অংশ ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটগ্রহণ বর্জন ঘোষণা দেন।