
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরের একটি টেলিভিশন টকশোতে দেওয়া মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরের মতো একজন প্রবীণ সাংবাদিক সম্প্রতি একটি টকশোতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যেসব মন্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের আহত করেছে। আমরা তার বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
জামায়াতে ইসলামী এ দাবি করে যে, নূরুল কবিরের বক্তব্য যে ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির নাম ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক মহল পত্রিকা অফিসে সহিংসতা চালাচ্ছে’, তা “অসত্য ও অন্যায্য।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দল কখনোই এমন সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় এবং ভবিষ্যতেও জড়াবে না।
নূরুল কবিরের মন্তব্য যে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করতে চায়, তা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানই সর্বপ্রথম আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন।”
দলটি নূরুল কবিরের ইসলামপ্রিয় মানুষদের ‘ইসলাম রক্ষার’ নামে জামায়াতে ইসলামী বিরোধী অবস্থান গ্রহণের আহ্বানকে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি হিসেবে দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের মন্তব্য সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
এছাড়া, জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে যে নূরুল কবিরের বক্তব্য যে দলের প্রার্থীরা ভোটকে ‘বেহেশতে যাওয়ার’ সঙ্গে সম্পর্কিত করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনোভাবেই মোনাফেকি বা বিভাজনমূলক কার্যক্রমের অংশ হয়নি।
জামায়াত আশা প্রকাশ করেছে, নূরুল কবিরের মতো একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সম্পাদক দলের বিরুদ্ধে গঠনমূলক ও ইতিবাচক সমালোচনা করবেন।