
দেশের রাজনীতিবিদদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদরা আগের মত পাগলামি ও বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমরা মালিক নয় জাতির খাদেম হব। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে কোন দলের ও ধর্মের আমরা তা দেখব না। আমরা দেখব সে বাংলাদেশি কি না।’
কুয়েত সফরে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব, তারা তাদের দেশকে যেমন পছন্দ করে, তেমনি আমাদেরও যেন আমাদের দেশ পছন্দ করার সুযোগ দেয়। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালবাসা ও বন্ধুত্ব চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেব। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানাব।’
তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর যারাই দেশ চালিয়েছে, তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে, সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসেছিল।’
প্রবাসীদের অভিযোগ ও অভিমত শুনে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমি যে দেশেই যাচ্ছি, সে দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পাচ্ছি। আমরা সময়মত পাসপোর্ট পাই না। সময়মত পেতে হলে বাড়তি খরচ করতে হয়, করুণার পাত্র হয়ে কাজ একে দিতে হয়, ওকে দিতে হয়। আবার কেউ মারা গেলে লাশটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। অনেক কান্নাকাটি করতে হয়। এদিক-ওদিক দৌড়াতে হয়। বিমান টিকিটের দাম দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ করে ফেলা হয়। এটা জুলুম।’
‘অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন, ন্যায্য পাওনা পান না। সরকার ও অ্যাম্বাসি তাদের পাশে দাঁড়ায় না। তাহলে অ্যাম্বাসি এখানে কেন? অ্যাম্বাসি হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধি। অ্যাম্বাসি যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে এখানে দরকার নেই। অ্যাম্বাসির দায়িত্ব হল প্রবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে বাধাগ্রস্ত হলে এ দেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা।’
এ সময় প্রত্যেক প্রবাসীকে স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলতে অনুরোধ করেন জামায়াতের আমির।
প্রসঙ্গত, কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে যান শফিকুর রহমান। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।