
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান নেতা নুরুল হক নুরের উপর হামলার ঘটনার তদন্তের জন্য এক সদস্যবিশিষ্ট বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যমুনা গেটে এক ব্রিফিংয়ে জানান, “প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হকের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার এবং নুরের দুই সহযোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনা অন্তত দুঃখজনক।”
এর আগে, সন্ধ্যায় নুরুল হকের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে একটি এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, নুরুল হকের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, নুরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নাকের হাড় ভেঙে যাওয়া, চোয়াল ও মেরুদন্ডে আঘাত লেগেছে। সুচিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনার বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে নুরুল হক নুর, রাশেদ খাঁনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। আহত অবস্থায় নুরকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।