
নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন দৌড়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার নাম প্রস্তাব করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মনোনয়ন দিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) এ তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ থামাতে মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে কম্বোডিয়া সরকার।
কম্বোডিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে একটি মনোনয়নপত্র পাঠিয়েছেন। নম পেন থেকে ৭ আগস্ট পাঠানো সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, “এটি শুধু আমার কৃতজ্ঞতা নয়, কম্বোডিয়ার জনগণের আন্তরিক কৃতজ্ঞতারও প্রতিফলন।”
ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করে হুন মানেত আরও বলেন, “অসাধারণ রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব” দেখিয়ে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে পাঁচ দিন ধরে সীমান্তে বোমা ও রকেট হামলা চলে, যাতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই সহিংসতা অবসান ঘটে ২৮ জুলাই একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।
এই যুদ্ধবিরতির পেছনে ট্রাম্পের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকা ছিল বলে জানানো হয়েছে। তিনি উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সংঘাত বন্ধে আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন—যদি যুদ্ধ চলতে থাকে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে। যুদ্ধবিরতির পর ট্রাম্প পুনরায় উভয় নেতাকে অভিনন্দন জানান।
এর আগেও শান্তি স্থাপনে ভূমিকার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। গত জুনে পাকিস্তান তাকে মনোনয়ন দেয় ভারতের সঙ্গে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করার কারণে। এরপর জুলাই মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পকে মনোনয়নের কথা ঘোষণা করেন।