বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও’র

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিনিয়োগকারী ও স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা ( (সিএসও) ইমরান খান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ড. ইউনূস ইমরান খানের সামনে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানান।

আলেফ হোল্ডিং বোর্ডের চেয়ারম্যান খান বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দারিদ্র্য দূরীকরণের আজীবন লক্ষ্য দ্বারা আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। জন্মভূমিতে বিনিয়োগ করার জন্য এটিই সঠিক সময়। আমি আপনার কাজের একজন মহান ভক্ত। আপনি আমাদের সবার জন্য জাতীয় গর্ব।

বার্তায় বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়সে পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খান প্রযুক্তি কোম্পানি ও বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। জেপি মরগান এবং ক্রেডিট সুইসের প্রাক্তন বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে তিনি আলিবাবার রেকর্ড-ব্রেকিং আইপিও-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও, স্ন্যাপচ্যাটে তার অবদানের কারণে কয়েক মাসে কোম্পানির মূল্য শূন্য থেকে ৭২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

সাক্ষাতে খান বলেন, গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমি বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। নিয়ন্ত্রক পরিবেশ ইতিমধ্যে আরও সহায়ক হয়েছে। বিশেষ করে ফিনটেক খাতে প্রবৃদ্ধি খুব দ্রুত ঘটছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেট যেখানে ফিনটেকের প্রসার এখনও সীমিত। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিশাল।

খান প্রোয়েম অ্যাসেটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, একটি বিনিয়োগ সংস্থা যা ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রোয়েম প্রযুক্তি-চালিত রূপান্তরের ক্ষেত্র, বিশেষ করে ফিনটেক ও ডিজিটাল অবকাঠামোতে কেন্দ্রীভূত বিনিয়োগে বিশেষজ্ঞ।

ড. ইউনূস খানকে আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান যাতে তিনি দেশটির বিনিয়োগ সুযোগগুলো আরও বিস্তারিতভাবে অন্বেষণ করতে পারেন। খান বলেছেন, তিনি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা আরও প্রস্তাব দেন, শীর্ষ মার্কিন বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ বা সমমনা কোম্পানিতে বরাদ্দ করুন। খান এই প্রস্তাবকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।