
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তুতি রয়েছে বলে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন তিনি। খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার নৌকাগুলোর ওপর মার্কিন বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এসব নৌযান মাদক পাচারে জড়িত ছিল। তবে ভেনেজুয়েলার ভাষ্য, এটি মূলত দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদুরো জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংবিধান অনুযায়ী পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “ভেনেজুয়েলার জনগণ যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সামরিক হস্তক্ষেপে নেমেছে, তবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা জরুরি অবস্থা জারি করব।”
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে নজিরবিহীন সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছেন। আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং পারমাণবিক সাবমেরিন ঘোরাফেরা করছে। পুয়ের্তো রিকোতেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বিমানবাহিনী।
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই সামরিক উপস্থিতি মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনটি ছোট নৌকা গুলি চালিয়ে ধ্বংস করেছে মার্কিন বাহিনী।
তবে ভেনেজুয়েলার দৃষ্টিতে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপ শুধুমাত্র মাদক পাচার ঠেকানোর উদ্দেশ্যে নয়, বরং দেশটির সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের চেষ্টা। এই উত্তেজনার মধ্যেই মাদুরোর কণ্ঠে প্রতিরোধের ঘোষণা যেন স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, ভেনেজুয়েলা পালটা জবাবের জন্য প্রস্তুত।