
২০২৪ সাল ছিল বৈশ্বিক সংকট ও পরিবর্তনের এক নাটকীয় অধ্যায়। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মত।
বছরের শুরুতেই বেশ কিছু দেশে মূল্যস্ফীতি কমার খবর এলেও সাধারণ মানুষের জীবনে তেমন স্বস্তি আসেনি। খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি জনঅসন্তোষ বাড়িয়েছে। এই চাপেই ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ভারতের মত দেশে নির্বাচনী ফলাফল ক্ষমতাসীন দলগুলোর বিরুদ্ধে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর এবার জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে তার দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্ব আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলমান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিপুল ভোটে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতায় বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে।
এ বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে বড় কোম্পানিগুলো এআইয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা, প্রযুক্তি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছেন।
২০২৪ সাল ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক পালাবদল ও যুদ্ধের টানাপোড়েনের এক জটিল মিশ্রণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘২০২৫ সালেও এই অস্থিরতার রেশ বিশ্বজুড়ে অনুভূত হতে পারে।’