
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা, তাদের পরিচয় এবং শ্রমের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, “জলজ জীববৈচিত্র্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধ, তাই পরিবেশ মূল্যায়নে শুধু ইকোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করাই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও জেলেদের সামাজিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।”
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ৭ম সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্মেলনটি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) যৌথভাবে আয়োজন করে।
ফরিদা আখতার বলেন, দেশের প্রাণীজ প্রোটিনের একটি বড় অংশ মাছ, ডিম ও অন্যান্য প্রাণীজাত পণ্য থেকে আসে, যা মূলত ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদন করছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই নারী। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অবদান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনও পর্যাপ্ত গুরুত্ব পাচ্ছে না।
উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এবং জলজ জীববৈচিত্র্যে আমরা সমৃদ্ধ হলেও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ এখনো সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক নির্মাণে পর্যাপ্ত কালভার্ট না থাকায় বহু স্থানে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা মাছের বিচরণ ও প্রাকৃতিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।”
ফরিদা আখতার আরও বলেন, “মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া ঘোষণার মাধ্যমে মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগও চলমান আছে। তবে এসব উদ্যোগকে আরও সমন্বিত ও সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।”