
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ফের কড়া ভাষায় মুখ খুলেছেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক পোস্টে সাকিবের রাজনীতি সম্পৃক্ততা ও আর্থিক জটিলতার প্রসঙ্গ তুলে তার কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রথমে এক পোস্টে আসিফ লেখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। অ্যান্ড অব দ্য ডিসকাশন।’ যদিও কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবুও স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এই মন্তব্য সাকিবকে উদ্দেশ করেই করা। এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে উত্তেজনা ছড়ায় সামাজিক মাধ্যমে।
সাকিবও চুপ থাকেননি। রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’ তিনিও কারও নাম না নিলেও, এই বার্তাটি যে আসিফের প্রতিক্রিয়াতেই এসেছে, তা অনুমান করতে বাকি থাকেনি কারও।
এর ঠিক একদিন পর আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আবারও একটি পোস্ট দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাতে সাকিবের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ও অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলেই কড়া ভাষা প্রয়োগ করেন তিনি।
সাকিবকে উদ্দেশ করে আসিফ লিখেছেন, আইন সবার জন্য সমান। এটা মোকাবেলা করুন।
সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করার প্রসঙ্গ নিয়ে যুব-ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি।’ তবে এই কথা সাকিব নিজে বলেছেন না অন্য কেউ বলেছেন তা পোস্টে পরিষ্কার না করলেও পরেই আসিফ লিখেছেন, ‘You know who.’
ক্রীড়া উপদেষ্টা লেখেন, ‘যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেকাংরি, মানি লন্ডারিং, ফাইনানশিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, Face it.’