
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র গোলাগুলি।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে সীমান্তের ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার সংলগ্ন এলাকাগুলোর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা এবং আরএসও-এর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলাকালে ছোঁড়া গুলির কয়েকটি বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড চাকঢালা এলাকায় ছৈয়দ আলমের বসতঘরের দেয়ালে আঘাত হানে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চাকঢালা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ আলম জানান, শনিবার সকাল থেকেই মিয়ানমারের পুরান মাইজ্জা ক্যাম্প এলাকা থেকে আরাকান আর্মি গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। ওই ক্যাম্পটি সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখলে নেয় বিদ্রোহী এ সংগঠনটি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা মেইলকে বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। শনিবার সকাল ১১টার দিকে একটি গুলির খোসা বাংলাদেশ সীমানার ভেতরে এসে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক তৈরি হয়।”
তিনি আরও জানান,“পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উপজেলা প্রশাসন ও সীমান্তে দায়িত্বরত ৩৪ বিজিবি। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।